৪৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতে স্বামী-স্ত্রী মিলে খুন করে নেছারাবাদের এক ব্যবসায়ীকে


রাজধানীর দক্ষিণখানে ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে হত্যার পর লাশ তিন টুকরো করে গুমের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সম্পর্কে তারা মা-মেয়ে। শুক্রবার (১৯ জুন) রাতে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের উত্তর বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান এই তথ্য জানান।

তার বড়ি নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানর ৬ নং ইউনিয়নের কাটা দৈহারি গ্রামের মোঃ জাবের মুন্সির ছোট ছেলে হেলাল উদ্দীন

পুলিশ জানায়, হেলাল উদ্দিন বিকাশ, নগদে টাকা লেনদেন এবং মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা করতেন। তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই প্রতিবেশী চার্লস রুপম ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগম মিলে খুন করেছে। ঘটনার দিন রুপম একটি ফটোকপি মেশিন বিক্রির কথা বলে হেলাল উদ্দিনকে বাসায় ডেকে নেয়। এরপর চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। রাতে লাশ তিন টুকরো করে স্বামী-স্ত্রী। পরে লাশ গুম করতে বস্তায় ভরে তিন টুকরো তিন জায়গায় ফেলে তারা।

গত সোমবার দক্ষিণখানের হাজী মুক্তিযোদ্ধা রোডের কাঁচারাস্তার পাশ থেকে পুলিশ খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। তিনটি টুকরো মেলানোর পর লাশটি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের বলে তার বড় ভাই মো. হোজায়ফা শনাক্ত করেন। ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা করা হয়। থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশের উত্তর বিভাগ মামলাটির তদন্ত শুরু করে।

মশিউর রহমান জানান, আসামিদের গ্রেফতার করতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এছাড়াও হেলালের মুঠোফোনের কল তালিকার সূত্র ধরে চার্লসের স্ত্রী শাহিনা ও তার মাকে গ্রেফতার করে ডিবি। গ্রেফতারের পর তারা হেলালকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে শাহিনা ও তার মা রাশিদা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে হেলালকে হত্যা করে ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। ডিবি টাকা উদ্ধার করেছে। তবে মূল পরিকল্পনাকারী রুপমকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Comments